1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
রাত পোহালেই খাগড়াছড়ি পৌরসভার ভোট- পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা - আলোকিত খাগড়াছড়ি

রাত পোহালেই খাগড়াছড়ি পৌরসভার ভোট- পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১
মো. আবদুর রউফ:
রাত পোহালেই দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ভোট গ্রহণের সকল সরঞ্জাম।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে যেন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি টহলে থাকবে এক প্লাটুন র‍্যাব।
এবারে খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৪জন, ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৪০জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম খলিল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ ফিরোজুল আলম ও বর্তমান মেয়র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় এবারে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭জন। এর মধ্য পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৩৫১ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭৩৬ জন।
পৌর নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য আচরণবিধি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮ টা থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক-বাস অন্যান্য যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরী সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সংবাদ সংগ্রহে অনুমতিপ্রাপ্ত সাংবাদিক এর আওতামুক্ত থাকবে।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মো. রাজু আহমেদ আলোকিত খাগড়াছড়িকে বলেন, নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১৮ টি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ আনসার সদস্যের পাশাপাশি একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও বিজিবির দলের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। পাশাপাশি থাকবেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট চলাকালীন সময়ে টহলে থাকবে র‍্যাব এবং সেনাবাহিনী।  আমরা পৌরবাসীকে সুষ্ঠু, সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ